সংবাদ শিরোনাম :
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম কে বিয়ানীবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে কৃষকদলের মহা সমাবেশ এসএমপি ডিবির অভিযানে জুয়া খেলার সামগ্রীসহ ০৪ (চার) জুয়ারী গ্রেফতারঃ কোন আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই পালিত হবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস শ্রীমঙ্গলে ২দিন ব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন শ্রীমঙ্গলে মাদকের আস্তানা থেকে নগদ টাকা ও মাদকসহ আটক ৩ তারেক জিয়ার পিপিই বিতরন করায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সম্পাদককে বহিষ্কার ৫ বছর পর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাতকে দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রাকের অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে এডাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে আটক ৩
ছাতকে বন্যার পানিতে থৈ-থৈ করছে উপজেলার সর্বত্র, ঘর-বাড়ি রাস্তা-ঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত,পানি বন্দী হাজার হাজার মানুষ

ছাতকে বন্যার পানিতে থৈ-থৈ করছে উপজেলার সর্বত্র, ঘর-বাড়ি রাস্তা-ঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত,পানি বন্দী হাজার হাজার মানুষ

ছাতকে বন্যার পানিতে থৈ-থৈ করছে উপজেলার সর্বত্র, ঘর-বাড়ি রাস্তা-ঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত,পানি বন্দী হাজার হাজার মানুষ

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীঃঃ

ছাতকে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার পানিতে থৈ-থৈ করছে উপজেলার সর্বত্রই। পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। উপজেলা পরিষদ চত্বর, থানা, কৃষি অফিস ও পৌরসভা ভবন এলাক সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ছাতক পৌরসভা সহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের হাজার- হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ছাতক-সিলেট, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-দোয়ারাবাজার ও ছাতক-বালিউরা-নরসিংপুর সড়ক সহ সকল গ্রামীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। নদ-নদীতে নৌ-চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে।

ছাতকে সুরমা, চেলা ও পিয়ান নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকার সময় সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫৮ সে.মি. বা ৫.১৮ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতক উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌর সভার হাজার-
হাজার ঘর বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে। শত-শত কাঁচা ঘর-বাড়ি, বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে বেশে গেছে শত শত খামারের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ । আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। উপজেলার হাট-বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ অনেক সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,রাস্তা-ঘাট,
ব্রিজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গণেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর হাই স্কুল, হাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর খুরমা ইউনিয়নের গদারমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ছাতক সদর ইউনিয়নের কাজিহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কালারুকা ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি সেন্টার সহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ পালিত গরু-ছাগল, হাস-মোরগ নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। পৌর সভার বাগবাড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকক্সে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে ও পৌর সভার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন
ছাতক-দোয়ারাবাজার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক। এ সময়
তিনি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজনদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণকালে এমপি মানিকের সাথে উপস্থিত ছিলেন ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম কিরণ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না,এএসপি সার্কেল রনজয় চন্দ্র মল্লিক,আওয়ামী লীগ নেতা,পৌর সভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী,ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা নজমুল হোসেন, কুহিন চৌধুরী,আব্দুল্লা আল মামুন তালুকদার প্রমুখ।

এদিকে, রাত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রাত প্রায় ১ঘটিকায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এসব রান্নাকরা খাবার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না।

উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক,জাউয়াবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হক,কালারুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অদুদ আলম,
ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ,নোয়ারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর
আব্দুল খালিক রাজা,নোয়ারাই ইউনিয়নের সদস্য হাজী সাদিক মিয়া সহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দরা জানান,বন্যায় রাস্তা-ঘাট সহ মানুষের ঘর-বাড়ি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের পাশে থেকে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্গত এলাকা পরিদর্শন সহ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ
খবর রাখছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না জানান, বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হবে। যে সব প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করে নি,এসব প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায়
সকল ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ##

সংবাদটি শেয়ার করুন :





© All rights reserved © 2021 Holysylhet